শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন

কম খরচে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমলনগরে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কম সময় ও স্বল্প খরচে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ একর জমিতে বোরো আবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় শনিবার উপজেলার চরলরেন্স এলাকায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। এ পদ্ধতিতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক স্বল্প সময় ও খরচে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারবেন বলে কৃষি বিভাগের দাবি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইকতারুল ইসলাম প্রমুখ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কম সময়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে উপজেলার চরলরেন্স এলাকার ৫০ একর জমিতে প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। কর্মসূচিটির আওতায় ৫৩ জন কৃষক বোরো বীজ সার ও ফসলের উপকরণ প্রণোদনার আওতায় এসেছেন। ইতোমধ্যে সাড়ে চার হাজার ট্রেতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে এ বীজ বপন করা হয়। এতে ৩:২ অনুপাতে মাটি ও গোবরের মিশ্রণ দেওয়া হয়েছে। এর পর বীজ ছিটিয়ে পুনরায় অর্ধেক মাটি ও গোবর মিশ্রণ দিয়ে সমতল জায়গায় রেখে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। এ বীজতলা তৈরির তিন দিনের মধ্যে অঙ্কুর বের হয়। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা উৎপাদন হয়ে রোপণের উপযোগী হওয়ায় এখন রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপণ শুরু করা হয়েছে।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দত্ত জানান, জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এজন্য সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারসহ বোরো ধানের উৎপাদন খরচ কমানো, শ্রমিক সঙ্কট নিরসন ও সময় সাশ্রয় সম্ভব। এ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষক অল্প সময়ের মধ্যে অধিক জমিতে ফসল ফলাতে পারবেন। ফলে এ এলাকায় বোরো আবাদে কৃষকের আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন:


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2018 Priyo Upakul
Design & Developed BY N Host BD
error: Content is protected !!