শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

কমলনগরে ২৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১৮ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৩ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনই জামানত হারিয়েছেন। মোট প্রদত্ত ভোটের আটভাগের একভাগ না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরফলকন ইউপির ১৪ হাজার ৫৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ৩৮৮ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীনত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারেফ হোসেন বাঘা ৭ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এখানে জামানত রক্ষায় ১ হাজার ১৭৪টি ভোট না পাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর সব প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ওইসব প্রার্থীরা হচ্ছেন-ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ১৫৩), চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. ইব্রাহীম (প্রাপ্ত ভোট ২৭০), হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবদুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ১৩৩), আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোহসিন (প্রাপ্ত ভোট ৪৭), গোলাপ ফুল প্রতীকের জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. জহির উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৪৬), টেবিল ফ্যান প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ৩৯) ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদার (প্রাপ্ত ভোট ৩৮)।
এদিকে হাজিরহাট ইউপির ২৩ হাজার ৬৫৭ জন ভোটারের মধ্যে ১৪ হাজার ৩০৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন (নৌকা) ৮ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অপর প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আকতার হোসেন মিলন (চশমা) ৩ হাজার ৭৫, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রিয়াজ (হাতপাখা) ৫৭১, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. ইউছুফ (টেবিল ফ্যান) ৪৪৬, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হাজি মো. শাহজাহান (মোটরসাইকেল) ২৯৫, স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম (অটোরিকশা) ১৭৪, ইসমাইল হোসেন বিপ্লব (ঘোড়া) ১৩০, মাস্টার মো. আবু বকর সিদ্দিক (আনারস) ৩৭ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী আবু বকর ছিদ্দিক (কুলা) ১৭ ভোট পান। জামানত রক্ষায় এখানে ১ হাজার ৭৮৮ ভোটের প্রয়োজন ছিল। সেই হিসেবে পরাজিত প্রার্থী মিলন ছাড়া অন্য সাতজন জামানত হারিয়েছেন।
অন্যদিকে তোরাবগঞ্জ ইউপির ১৬ হাজার ৬১৫ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ২৩২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর্জা আশ্রাফুল জামান রাসেল ৮ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতন (ঘোড়া) ৩ হাজার ২৬১ পান। জামানত রক্ষায় এখানে ১ হাজার ৫২৯টি ভোটের প্রয়োজন থাকলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম (হাতপাখা) ১৪৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন (টেবিল ফ্যান) ২২, মৌসুমী আক্তার আঁখি (আনারস) ১২ ও সুলতান আহাম্মদ টিপু (অটোরিকশা) ৮ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুয়ায়ী কোনো প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের আটভাগের একভাগ না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। সেই অনুযায়ী ওই ২৩ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনই তাদের জামানত হারিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন:


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2018 Priyo Upakul
Design & Developed BY N Host BD
error: Content is protected !!