উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় বিক্ষোভকারীরা হামলার ঘটনার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পি ও ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতনকে দায়ী করে তাদের গ্রেফতার দাবি করে এবং তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

জানা গেছে, ফয়সল আহমেদ রতন এবার নৌকা প্রতীক না পেয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। অন্যদিকে নৌকা প্রতীক পান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আশ্রাফুল জামান রাসেল।

অনুরুপভাবে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মাস্টার একেএম নুরুল আমিন দলীয় নমিনেশন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নামেন। কিন্তু উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পরাজয় ঘটে। ইউপি নির্বাচনে এসেও একই পরিবার থেকে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান কঠিন হয়ে ওঠে। আওয়ামীলীগ পরিবার দাবিদার সত্বেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে একাধিকবার নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বাপ্পি ও রতন গংদের অবস্থান দলের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। একপর্যায়ে ২১ জুন ইউপি নির্বাচন দিন জেলা সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। হামলায় তিনি ও তার গাড়ি চালক সহ ৬ জন আহত হয়েছেন। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে  তার গাড়ির কাঁচ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

এব্যাপারে কমলনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোসলেহ উদ্দিন  জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, ২১ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রার্থীই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন ।