মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ রোববার লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা এ ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসন ১০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সবক’টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যে কারণে, কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রের ৬০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ১০ হাজার ৮৩৬ জন পুরুষ ও ১০ হাজার ৬৯ জন নারীসহ ২০ হাজার ৯০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর এ কাজে ১০ জন প্রিজাইডিং, ৬০ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১২০ জন পোলিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।
এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মেয়র পদে ছয়, কাউন্সিলর পদে ৩৭ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হচ্ছেনÑআওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক বর্তমান মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু (প্রতীক-নৌকা), বিএনপি মনোনীনত প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র সাহেদ আলী পটু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবি আব্দুল্যাহ (নারিকেল গাছ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী সংগঠনটির পৌর শাখার সহসভাপতি মো. আবদুর রহিম (হাতপাখা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন (জগ)। তবে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়র পদে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটের বিশ্লেষণে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেজু, বিএনপি প্রার্থী পটু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্যাহর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, বিভিন্ন দিক বিবেচায় সবগুলো কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার ও সাতজন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন বলে তিনি জানান।
সহকারী রিটার্র্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকায় নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া ভোট চলাকালে পুলিশের মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, কোস্টগার্ড, র্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন।
Leave a Reply