শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : এবারই প্রথম লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যে কারণে, নতুন এ পদ্ধতি সম্পর্কে ভোটারদের পরিচিত করতে অনুশীলন ভোটিংয়ের (মক ভোটিং) আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার সবক’টি কেন্দ্রে এ মক ভোটিংয়ের আয়োজন করা হয়। তবে, অনুশীলনমূলক এ ভোটিংয়ে তেমন সাড়া মেলেনি ভোটারদের। এ ক্ষেত্রে দুর্বল প্রচার-প্রচারণাকে দায়ী করছেন অনেকে।
জানা গেছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রামগতি পৌরসভার ভোটাররা এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটারদের প্রশিক্ষণের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিস পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে অনুশীলন ভোটের (মক ভোট) আয়োজন করে। কিন্তু প্রচার-প্রচারণার অভাবে খুব কম সংখ্যক ভোটারই এতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এতে গড়ে শতকরা দুই থেকে তিনভাগ ভোটার অংশ নিয়েছেন।
উপজেলা সদর আলেকজান্ডার সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ইভিএমে ভোট নেওয়ার জন্য সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসাররা বসে রয়েছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ভোট পরেছে মাত্র ৩৮টি।
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও আলেকজান্ডার আ স ম আব্দুর রব সরকারি কলেজের প্রভাষক জনি চন্দ্র দাস জানান, ভোটদানের নতুন এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ভোটারদের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। কেন্দ্রটিতে ভোটারের সংখ্যা দুই হাজার ৭৫২ জন হলেও মক ভোটিংয়ে মাত্র ৩৮ জন অংশ নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রচার-প্রচারণার অভাবে অবগত না হওয়ার কারেণ অনেক ভোটার মক ভোটিংয়ে অংশ নেননি।
তবে, মক ভোটিংয়ে অংশ নিয়ে ইভিএম সম্পর্কে ধারণা পাল্টে গেছে অনেকের। আলেকজান্ডার পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মক ভোটিংয়ে অংশ নেওয়া মো. হান্নান, মাকছুদুর রহমান মাসুদ ও মো. আজগরসহ কয়েকজন ভোটার জানান, পদ্ধতি জানা থাকলে ইভিএমে ভোটদান খুবই সহজ। এমনকী এটি শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পদ্ধতি। ইভিএম সম্পর্কে আগে তাদের ভীতি এবং ভোট জালিয়াতির ভুল ধারণা থাকলেও মক ভোটিংয়ে অংশ নিয়ে তাদের সেই ধারণা পাল্টে গেছে বলে জানান।
এদিকে, নতুন এ পদ্ধতিতে ভোট নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারাও। পৌরসভার চরসীতা তোরাব আলী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও আলেকজান্ডার আ স ম আব্দুর রব সরকারি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান, এর আগেও তিনি দু’টি নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বপালন করেছেন। এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নিচ্ছেন। এ পদ্ধতি তার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট প্রদান একটি স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ ও সহজ পদ্ধতি। এখানে জাল ভোট প্রদানের ন্যূনতম কোনো সুুযোগ নেই।’
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী বলেন, ‘মক ভোটিংয়ে অংশ নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে বৃহস্পতিবার পৌর এলাকায় মাইকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়াও এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরও ধারণা দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না।’
Leave a Reply