শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টাঙ্কির খাল মাছঘাট এলাকার অদূরে মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নববধূ ও শিশুসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বর মো. শরিফসহ প্রায় অর্ধশত যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও ১০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধারে স্থানীয় জেলে, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিহতরা হচ্ছেন-নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার কালন্দি ইউনিয়নের নলেরচর এলাকার মো. ইব্রাহীমের মেয়ে নববধূ তাছলিমা বেগম (২১), একই এলাকার আলী আকবরের স্ত্রী আছমা বেগম (২৫), তাদের মেয়ে লামিয়া আক্তার (২), মো. আলমগীরের মেয়ে লিলি আক্তার (৮), ফয়েজ আহাম্মদের মেয়ে রূপা আক্তার (৫), আলাউদ্দিনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩০) ও খোরশেদ আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫)। তবে নিখোঁজ যাত্রীদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলেরচর ও ভোলার মনপুরা উপজেলার ঢালচর এলাকায় বলে জানা গেছে।
রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলেরচর থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেল ৩টার দিকে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলার ভোলার মনপুরা উপজেলার ঢালচর এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ৬৫ থেকে ৭০ জন যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি রামগতি উপজেলার সীমান্তবর্তী টঙ্কির খাল মাছঘাট এলাকার কাছাকাছি পৌঁছালে তীব্র ¯্রােতের মুখে মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায়। এতে ট্রলারের সব যাত্রী নদীতে ডুবে গেলে স্থানীয় জেলেরা তাদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। খবর পেয়ে বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য, রামগতি ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা গিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। তাদের প্রচেষ্টায় নদী থেকে নববধূসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বর ভোলার মনপুরা উপজেলার ঢালচর এলাকার বেল্লাল মেস্তরীর ছেলে মো. শরিফসহ (৩০) আরও প্রায় অর্ধশতজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও ১০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে তারাসহ কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির এ ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। এ সময় তিনি নিখোঁজদের উদ্ধারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply