শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে বিভক্ত হয়ে কমলনগর উপজেলা গঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার না থাকায় হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে হতো উপজেলা প্রশাসনকে। তবে এবার আর তাদেরকে সেখানে যেতে হচ্ছে না; মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ (বুধবার) উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদ্যনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা। যার মাধ্যমে দীর্ঘ একযুগ পর প্রথম নিজস্ব শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৬ জুন দেশের ৪৭২তম উপজেলা হিসেবে কমলনগর উপজেলার যাত্রা শুরু হয়। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলেও দীর্ঘদিনেও গড়ে ওঠেনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। যে কারণে মহান বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা প্রশাসন প্রথমে হাজিরহাট সরকারি মিল্লাত একাডেমি এবং পরে হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তক করে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ২০১৭ সালে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথমে নির্মাণকাজের গতি থাকলেও কাজ কিছুটা এগিয়ে বিভিন্ন কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী শহীদ মিনারের বাকী অংশের কাজ সম্পন্নের উদ্যোগ নেন। তার প্রচেষ্টায় শহীদ মিনারটি আজ পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। তাই, এবারের বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসন নবনির্মিত ওই শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, জাতীয় বিভিন্ন দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা প্রশাসনকে এতোদিন অন্যদের শহীদ মিনারে যেতো হতো। কিন্তু এবারই প্রথম নিজস্ব শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বিষয়টি তাদের জন্য খুবই আনন্দের।
তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে সদ্যনির্মিত ওই শহীদ মিনারটি দৃষ্টিনন্দন করতে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যে দিয়ে শহীদ মিনারটির যাত্রা শুরু হবে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বাপ্পী জানান, বরাদ্দের অভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকার পর তিনি ব্যক্তিগত অর্থে শহীদ মিনারের বাকী অংশের কাজ সম্পন্নের উদ্যোগ নেন। এ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারায় তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘এ শহীদ মিনার নির্মাণের ফলে উপজেলা প্রশাসন এখন থেকে জাতীয় বিভিন্ন দিবসে স্বাচ্ছন্দ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন।’
Leave a Reply