নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিধবা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে রাখার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি মো. করিমকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের বাকুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার করিম উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের চরকলাকোপা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রামগতি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিনুল হক জানান, ঘটনার পর পরই প্রধান অভিযুক্ত করিম আত্মগোপনে চলে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রোববার রাতে চট্টগ্রামের বাকুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মামলার অপর চার আসামি সোহেল, জামাল, আরিফ ও আলাউদ্দিনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। আদালতের নির্দেশে তারা এখন রিমান্ডে রয়েছেন।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, প্রধান আসামি করিমকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এ মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
তিনি বলেন, সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে করিমকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া রিমান্ডে থাকা অপর চার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে সেই বিষয়ে এখনই বিস্তারিত প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ৩ অক্টোবর রাতে উপজেলার চরকলাকোপা এলাকার বিধবা এক নারীকে স্থানীয় পাঁচ যুবক ঘরে ঢুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ধর্ষকরা তাকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে রাখে যায়। পরদিন ৪ অক্টোবর সকালে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে ৫ অক্টোবর রামগতি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।