শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় এক বিধবা (৩৮) নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে পুলিশ উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড এলাকার নিজ বসতঘরের পেছন থেকে ওই বিধবাকে উদ্ধার করেন। অচেতন অবস্থায় ওই বিধবা নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা-বার্তা বলতে পারছেন না।
এদিকে বিধবার স্বজনদের অভিযোগ, একটি সংঘবদ্ধ দল তাকে ধর্ষণ শেষে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে বসতঘরের পেছনে পেলে রেখে গেছেন। স্পর্শকাতর স্থানসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
বিধবার ভাই জানান, স্বামী মারা যাওয়ায় এবং একমাত্র সন্তানকে (মেয়ে) বিয়ে দিয়ে দেওয়ায় তার বোন দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করে আসছেন। রোববার সকালে তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই বাড়ির বসতঘরের পেছনে তার বোনকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কয়েকজন যুবক তার বোনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে বাগ্বিত-ার জের ধরে মারামারির ঘটনায় তার বোন গুরুতর আহত হয়েছেন। এখনও তার হাত ও পা ব্যান্ডেজ অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তার অভিযোগ, এতে ক্ষীপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শনিবার রাতে দরজা ভেঙে তার বিধবা বোনের ঘরে প্রবেশ করে। ওই সময় তারা বিধবাকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে রশি দিয়ে হাত-পা এবং গামটেপ দিয়ে মুখ ও চোখ বেঁধে ঘরের পেছনে রেখে পালিয়ে যায়। তার বোনের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসহ বিভন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান।
স্থানীয় চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আজাদ উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনতে পেরে আমিও ওই বিধবার বাড়িতে গিয়ে তাকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই। অচেতন অবস্থায় থাকায় তার কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, বিধবা ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাভাবিক হলে তার কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে। তখন প্রয়োজন অনুযায়ী তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply