বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন
রামগতি প্রতিনিধি : উপকূলীয় চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সাড়ে তিন হাজার দরিদ্র পরিবার বিনামূল্যে হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পাচ্ছে। উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তাদেরকে এ সুবিধা দিচ্ছে।
জানা গেছে, উপকূলীয় চরাঞ্চলের গরিব মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র খামার স্থাপন করে ডিম ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টি-আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষে সরকার তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর আওতায় রামগতি উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের তিন হাজার ৫৪২টি পরিবারকে সুফলভোগী হিসেবে নির্বাচিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষিত ওইসব দরিদ্র পরিবারের মধ্যে এক হাজার ৭৫০ পরিবারকে ১৮টি স্ত্রী হাঁস ও দু’টি পুরুষ হাঁস, এক হাজার ৫০ পরিবারকে ১৮টি মুরগি ও দু’টি মোরগ, ৭০০ পরিবারকে দু’টি ভেড়ি ও একটি ভেড়া, সাতটি পরিবারকে একটি কবুতরের ঘর এবং ৩৫টি পরিবারকে উন্নতমানের নেপিয়ার ঘাস উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার পরিবারের মাঝে হাঁস-মুরগি ও ভেড়াসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত অপর সুফলভোগীরাও এ সহায়তা পাবেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, এসবের পাশাপাশি হাঁস-মুরগির জন্য ৬৫ দিনের ও ভেড়ার জন্য ৮০ দিনের খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওই সব প্রাণি রাখা ও প্রতিপালনের জন্য বিনামূল্যে ঘর তৈরি করে দেয়াসহ ভ্যাকসিন ও মেডিসিনও দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দরিদ্র পরিবারগুলোর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মিটবে।
Leave a Reply