শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক আইনজীবিসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের মুন্সিরহাটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়। গুরুতর আহত তছলীম আলম, মো. রাকিব ও আবদুল হামিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আছমা বেগম ও আফসানা আক্তারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিনের বাড়ির বাগানে আফসার উদ্দিন নামে এক প্রতিবেশী দীর্ঘদিন ধরে আসর বসিয়ে জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে। ঈদের দিন সোমবার মতিন জুয়া খেলার প্রতিবাদ করলে আফসারসহ জুয়াড়িরা তাকে হেনস্তা করে। এ ঘটনায় মতিনের ছেলে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট তছলীম আলম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আফসারের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় মুন্সীরহাট বাজারে তছলীমের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ খবর পেয়ে তছলীমের স্বজনরা এগিয়ে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের ১৬ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অ্যাডভোকেট তছলীম আলম জানান, এ ঘটনায় রাকিব, হামিদ, কাশেম, রাহাদ ও মোহাম্মদসহ তাদের পক্ষের নয়জন আহত হয়েছেন। এ সময় আফসারের লোকজন হামলা চালিয়ে তাদের বাজারের পাঁচটি ব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে আফসার উদ্দিন জানান, ঈদ উৎসবে তাদের মালিকানাধীন বাগানে জুয়া খেলা হয়েছিল। কিন্তু মতিনের ছেলে তছলীম থানায় তার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। তাছাড়া তছলীমদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় তছলীমের লোকজন বাজারের পাশে থাকা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এতে আছমা, আফসানা, মাইন উদ্দিন, আজগর ও মেহেরাজসহ সাতজন আহত হন বলে তিনি দাবি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে, এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেননি বলে তিনি জানান।
Leave a Reply