বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ১৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও পাকিস্তানি দোসরদের কাছ থেকে এ এলাকাটি মুক্ত হয় তিনদিন পর। ওই দিন দুপুরে পাকিস্তানী দোসর রাজাকার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শত্রুমুক্ত হয় এলাকাটি। যে কারণে, স্বাধীনতা লাভের তিনদিন পর এখানকার মুক্তিকামী মানুষেরা বিজয়ের স্বাদ পায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ কমলনগর উপজেলা (তৎকালীন রামগতি থানা) পাকবাহিনী মুক্ত হয়েছিলো। কিন্তু ‘রাজাকারের শক্ত ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এ উপজেলার হাজিরহাট বাজারের জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থাপন করা ক্যাম্পে দেড় শতাধিক রাজাকার অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। এরই মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও রাজাকারদের উৎপাত থামেনি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. সফিক উদ্দিন জানান, দেশ স্বাধীন হয়ে গেলেও শত্রুমুক্ত হতে না পেরে ১৯ ডিসেম্বর রাজাকারের সঙ্গে তারা যুদ্ধের পরিকল্পনা আঁকেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন ভোরেই তারা হাজিরহাট বাজারেরর দক্ষিণ পাশে মেঘনা ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেন। ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একপর্যায়ে তারা রাজাকার ক্যাম্পের চর্তুদিক ঘিরে ফেলেন। উপয়ান্তু না পেয়ে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজাকার বাহিনী। দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্প সংলগ্ন কৃষি বিভাগের একটি বীজাগার ভবনে অস্ত্র জমা দিয়ে দেড়শতাধিক রাজাকার আত্মসমর্পণ করেন।
তিনি বলেন, ‘রাজাকারদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ১৯ ডিসেম্বর কমলনগর মুক্ত হওয়ার পরদিন (২০ ডিসেম্বর) রাজাকারদের গণবিচারের আয়োজন করা হয়। বিচারে রাজাকারদের অত্যাচারের মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়।
Leave a Reply