শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন

কমলনগরে পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছেন অষ্টম-নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় অষ্টম-নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শহীদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয়পড়–য়া ১১ জন শিক্ষার্থী আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থী হয়ে এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চরলরেন্স ইউনিয়নের ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দু’টি কিন্ডারগার্টেন ও নয়টি আনন্দ স্কুলের ৫৫০ জন শিক্ষার্থী শহীদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে নয়টি আনন্দ স্কুল থেকে অংশ নিচ্ছেন ১৫২ জন পরীক্ষার্থী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষা চলাকালে শহীদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় চরলরেন্স উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মানবিক শাখার ছাত্র আবির মাহমুদ (পিইসি রোল-৮৪৯), অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া আক্তার (পিইসি রোল-৮৫২), সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার ও আকলিমা আক্তারসহ ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ১১ জন শিক্ষার্থী পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। এদের মধ্যে আবির ও তানিয়া সিরাজুল ইসলাম এমপি আনন্দ স্কুল, সুমনা ও আকলিমা ঈমান আলী প্রফেসরের বাড়ির দরজা আনন্দ স্কুলের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চরলরেন্স উচ্চবিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ওইসব পরীক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার্থী বলে শনাক্ত করেন।
শহীদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রবেশপত্রের নাম ও ছবির সঙ্গে মিল থাকায় ওই সব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমার করার কিছু নেই। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কীভাবে পিইসি পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেটা কর্তৃপক্ষই ভালো জানেন।’
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলো না; খোঁজ-খবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে ওই পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
আনন্দ স্কুলের উপজেলার ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মো. নাজিম উদ্দিন জানান, এ ধরনের অভিযোগ পেয়ে তারা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্তের কাজ করছেন। ওই কেন্দ্রে এ ধরনের পরীক্ষার্থী পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীসহ আনন্দ স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম এহছানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন:


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2018 Priyo Upakul
Design & Developed BY N Host BD
error: Content is protected !!