শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহত্তর রামগতি (বর্তমান রামগতি-কমলনগর) আসনেরসা বেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাআ লহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম (৯০) আর নেই। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি … … …রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে ও ছয় মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রহী রেখে যান। শুক্রবার বিকেলে চরলরেন্স উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার লাশ দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মোশারেফ হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট একেএম নুরুল আমিন রাজু, রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, রামগতি পৌর মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু, কমলনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. সফিক উদ্দিন ও চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান উল্যাহ হিরন শোক প্রকাশ করেছেন। সিরাজুল ইসলাম কমলনগর (সাবেক রামগতি) উপজেলার চরলরেন্স এলাকায় ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি রামগতি বিবিকে উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্টিকুলেশন ও ১৯৫৪ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। ওই কলেজে থাকাকালে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হন এবং কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় নোয়াখালী সংবাদদাতা’র দায়িত্বপালন করেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিলো অনেক। ভরত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হাতিয়া-রামগতি আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি একই এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় গণপরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। জনপ্রতিনিধি থাকাকলে এলাকার উন্নয়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। সিরাজুল ইসলাম নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বৃহত্তর রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তার চরলরেন্স এলাকার বাড়িতে এসেছিলেন।
Leave a Reply