শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র প্রভাবে মেঘনা উপকূলের আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চারদিকে মেঘনা নদী বেষ্টিত চরআব্দুল্লাহ ইউনিয়নের তেলিয়ারচর ও চরগজারিয়ায় ঝড়ো হাওয়া বইছে। রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাতাসের গতিবেগ বাড়ার পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার ভোর থেকে এ অবস্থা চলতে থাকায় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
চরগজারিয়া তেলিয়ারচর এলাকার বাসিন্দা তছলিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার ভোর থেকে দুর্গোম ওই চরে ঝড়ো হাওয়া বইছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিলেও নদী উত্তাল থাকায় তারা এখন নিরাপদ আশ্রয়ে উপজেলার মূল ভূ-খণ্ডে আসতে পারছে না। অবশ্য বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উপজেলা প্রশাসন ওইসব মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য ট্রলার প্রস্তুত রাখলেও তারা তখন আসেননি বলে তিনি জানান।
চরআব্দুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, বিচ্ছিন্ন ওই চরগুলোর মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। জোয়ার শেষে ভাটার টানে নদীর উত্তাল কমে গেলে তাদেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র প্রভাবে ভোর থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি আকাশও মেঘাচ্ছন্ন দেখাচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে মেঘনার জোয়ারের পানি বেড়ে নদী উত্তাল থাকায় বেশিরভাগ জেলেই মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছেন।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় তারা বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে আনতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। দু’উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি বিদ্যালয় ভবনগুলোও খোলা রাখা হয়েছে। এলাকার মানুষের পাশে থাকতে ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে এসব বিষয়গুলো তদারকি করা হচ্ছে বলে তারা জানান।
Leave a Reply